খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি ভারত এবং পাকিস্তান, দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

খেলার মাঠে ভারতকে ধসিয়ে দিল পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ওমানের মাসকটে শুক্রবার মুখোমুখি হয় দুই দেশের বিচ হ্যান্ডবল দল। এটি ছিল ১০ম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপের একটি লিগ ম্যাচ। খেলাটি হয় সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে।

ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে পাকিস্তান। ম্যাচে ভারতকে তারা হারিয়ে দেয় সরাসরি সেটে। দুই সেটের একটিতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি ভারত। প্রথম সেটে দলটা হারে ৩৪–৬ ব্যবধানে আর দ্বিতীয় সেটে ৩৬–৭ ব্যবধানে।

ভারতীয় খেলোয়াড়রা ম্যাচের সময় কালো ব্যাজ পরেছিলেন, কিন্তু এশিয়ান হ্যান্ডবল ফেডারেশন (এএইচএফ) ও আয়োজকেরা তাদের তা খুলে ফেলতে বলেন। সূত্র জানায়, আয়োজকেরা ভারতীয় কোচিং স্টাফকে জানিয়ে দেন, এই ধরনের প্রতিবাদ দেখালে তাদের দলকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

ম্যাচটি বয়কট করার কথাও ভেবেছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা, কারণ তারা ঘরে ফেরার পর জনরোষের শিকার হতে পারেন বলে শঙ্কা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত খেলতে হয় এএইচএফ-এর কড়া হুমকির কারণে।

হ্যান্ডবল ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পাণ্ডে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, আমরা যদি ম্যাচে না খেলতাম, তাহলে আমাদের ১০ হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হতো। সেই সঙ্গে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কাও ছিল। এএইচএফ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ভারতীয় দল ম্যাচে না নামলে সেটা অলিম্পিক চার্টারের বিপরীত হিসেবে ধরা হবে। আমাদের কোনো বিকল্প ছিল না।’ ম্যাচটি ভারত ০-২ ব্যবধানে হেরে যায়।

ম্যাচ শুরুর আগে হ্যান্ডবল ফেডারেশন ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছিল, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে কি না সে বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে। কিন্তু সেই চিঠির কোনো উত্তর তখনো আসেনি। আনন্দেশ্বর পাণ্ডে বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আসেনি যে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা যাবে না। যদি থাকত, আমরা দলই তুলে নিতাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিযোগিতার জন্য এন্ট্রি অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল এবং আমাদের পুরুষ ও নারী দল ৫ মে মাসকটে পৌঁছে গেছে। তখন আমরা জানতাম না যে দুই দেশের সম্পর্ক এমন খারাপ হয়ে যাবে। এই প্রতিযোগিতায় আবারো পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার সম্ভাবনা আছে, হয়তো সেমিফাইনাল বা ফাইনালে। আমরা মন্ত্রণালয় ও অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। যদি তা না আসে, তাহলে পরবর্তী ম্যাচে আমাদের দল পাকিস্তানের বিপক্ষে নামবে না।’

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!